কুমিল্লা জেলা

কুমিল্লা জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুমিল্লা
জেলা
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: কুমিল্লার স্কাইলাইন, শাহ সুজা মসজিদ, বরুড়া উপজেলার মাঠ, গোমতী নদীময়নামতিতে শালবন বৌদ্ধ বিহার
বাংলাদেশে কুমিল্লা জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে কুমিল্লা জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৭′৩০″ উত্তর ৯১°১১′০″ পূর্ব উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
প্রতিষ্ঠাকাল১৭৯০
বাংলাদেশের জেলা পরিষদকুমিল্লা জেলা
সরকার
 • জেলা প্রশাসকমোঃ শামীম আলম
আয়তন
 • মোট৩,০৮৭.৩৩ বর্গকিমি (১,১৯২.০২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট৫৬,০২,৬২৫
 • জনঘনত্ব১,৮০০/বর্গকিমি (৪,৭০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৮২.০২% (শতাংশ)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৫০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১৯
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

কুমিল্লা জেলা (আদিনাম কমলাঙ্ক এর অপভ্রংশ, যার অর্থ পদ্মফুলের দীঘি) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি খাদি কাপড় ও রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত। উপজেলার সংখ্যানুসারে কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণিভুক্ত একটি জেলা।[২]

আয়তন ও অবস্থান[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২৩°০২´ থেকে ২৪°৪৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°৩৯´ থেকে ৯১°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে কুমিল্লা জেলার অবস্থান।[৩] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৯৭ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৪৯ কিলোমিটার। কুমিল্লা জেলার মোট আয়তন ৩,০৮৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার (৭,৬২,৮৯৫ একর)। এ জেলার উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলামেঘনা নদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ফেনী জেলা ও নোয়াখালী জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে চাঁদপুর জেলামেঘনা নদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

জনশুমারি ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার মোট জনসংখ্যা ৬২,১২,২১৬ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৯৭৪ জন। সাক্ষরতার হার ৮২.০০%। [১]

কুমিল্লা জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০১১

  ইসলাম (৯৪.৬২%)
  অন্যান্য ধর্ম (০.১২%)

ধর্মবিশ্বাস অনুসারে কুমিল্লা জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৪.৬২% মুসলিম, ৫.২৬% হিন্দু এবং ০.১২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠাকাল[সম্পাদনা]

কুমিল্লা প্রাচীনকালে সমতট জনপদের অংশ ছিল। ১৭৩৩ সালে বাংলার নবাব সুজাউদ্দিন খান ত্রিপুরা রাজ্য বিজয় করে এর সমতল অংশ সুবাহ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ত্রিপুরা দখল করে। ১৭৬৯ সালে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কোম্পানী একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে। তখন ঢাকা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল কুমিল্লা। কুমিল্লাকে ১৭৭৬ সালে কালেক্টরের অধীনস্থ করা হয়। ১৭৯০ সালে কোম্পানী শাসনামলে ত্রিপুরা নামের জেলার সৃষ্টি হয় করা হয়। তৎকালে বর্তমান কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, শাহবাজপুর, হাতিয়া, ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মীরসরাই নিয়ে সমতল অঞ্চল নিয়ে ত্রিপুরা জেলা ও পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে পার্বত্য ত্রিপুরা নামে ভাগ করা হয়, এই জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় কুমিল্লায়। ১৮২১ সালে ত্রিপুরা জেলাকে ভাগ করে বর্তমান নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর নিয়ে ভূলুয়া জেলা গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে নোয়াখালী নামকরণ করা হয়। ১৯৬০ সালে সদর দপ্তরের নামানুসারে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা এবং তখন থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদটির নামকরণ জেলা প্রশাসক করা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার দু'টি মহকুমা চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পৃথক জেলা হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।[৪]

নামকরণ[সম্পাদনা]

বর্তমান কুমিল্লা জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনস্থ একটি জেলা। শুরুর দিকে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত হলেও পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়েছিল। কুমিল্লা নামকরণের অনেকগুলো প্রচলিত মত রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযাগ্য চৈনিক পরিব্রাজক ওয়াং চোয়াঙ কর্তৃক সমতট রাজ্য পরিভ্রমণের বৃত্তান্ত থেকে। তার বর্ণনায় কিয়া-মল-ঙ্কিয়া নামক যে স্থানের বিবরণ রয়েছে সেটি থেকে কমলাঙ্ক বা কুমিল্লার নামকরণ হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শন‍াদি থেকে জানা যায় খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লা ২ নং সেক্টর এর অন্তর্গত ছিল। ঢাকা এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ, নোয়াখালী ও কুমিল্লা নিয়ে গঠিত হয়েছিল ২নং সেক্টর। এ সেক্টরের নেতৃত্ব দেন- মেজর খালেদ মোশাররফ (১০ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) এবং মেজর এ.টি.এম. হায়দার (২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
  • বধ্যভূমি- সদর উপজেলার সদর রসুলপুর, বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর, লাকসাম উপজেলার বেলতলীতে বধ্যভূমি আছে। (উত্তর , পুইরা পুল-চান্দিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে, চান্দিনা হাসপাতালের উত্তর-পশ্চিম কোণে, দাউদকান্দি থানার দক্ষিণে সাহাপাড়া ব্রীজ)
  • গণকবর - ১২টি (ব্রাহ্মণপাড়ার রেললাইন সংলগ্ন হরিমঙ্গল পুকুর পাড়, চান্দিনার কাশিমপুর শ্মশান ঘাট, মহিচাইল বাড়ই পাড়া ও কংগাই বড়বাড়ি, হোমনা ডিগ্রি কলেজের পাশে, বরুড়ার বটতলীর অদূরে নারায়ণপুর, দেবিদ্বার থানা সদর, পশ্চিমগাঁও, লাকসাম বিড়ি ফ্যাক্টরি ও লাকসাম রেলওয়ে জংশন, নাঙ্গলকোটের পরিকোট ও তেজের বাজার, মনোহরগঞ্জের হাসনাবাদ)
  • স্মৃতিস্তম্ভ - ৪টি।[৩]
  • মঠ- ২টি

ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিল্লা প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে এ উপমহাদেশে সুপরিচিত। রসমালাই নামক বিখ্যাত মিষ্টি কুমিল্লায় তৈরি করা হয়। কুমিল্লার রসমলাই সারাদেশে এক নামে পরিচিত। দুধ, ছানা ও চিনির সমন্বয়ে তৈরি হয় এ মিষ্টান্ন যার প্রচলন কুমিল্লাতেই শুরু হয়। অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি প্রস্তুতের জন্যও কুমিল্লা বিখ্যাত। এছাড়াও কুমিল্লার বিখ্যাত খদ্দর (খাদি) শিল্পের জন্য। ১৯২১ সাল থেকে খদ্দর এ অঞ্চলে প্রচলিত। কুমিল্লার খদ্দর শিল্পগত উৎকর্ষে প্রচুর খ্যাতি লাভ করেছিল। এখান থেকে খদ্দর কাপড় কলকাতা ও বোম্বে পাঠানো হত। বাঁশের বাঁশির জন্য কুমিল্লা বিখ্যাত। কুমিল্লার হোমনার শ্রীমদ্দি গ্রাম উপমহাদেশের বাঁশের বাঁশির জন্য সুবিখ্যাত; শ্রীমদ্দি গ্রামের বাঁশিপাড়ার বাঁশি বর্তমানে দেশ-বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে সগৌরবে। এছাড়াও তাঁত শিল্পকুটির শিল্পমৃৎশিল্প ও কারু শিল্প, ময়নামতির শীতল পাটি ইত্যাদি স্ব-স্ব ঐতিহ্যে স্বকীয়তা আজও বজায় রেখেছে।[৫]

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ[সম্পাদনা]

কুমিল্লা জেলা ২৭ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৭টি উপজেলা, ১৮টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ১৯২টি ইউনিয়ন, ৩,৬৮৭টি গ্রাম ও ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

উপজেলাসমূহ[সম্পাদনা]

কুমিল্লা জেলায় মোট ১৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:

ক্রম নংউপজেলাআয়তন
(বর্গ কিলোমিটারে)
প্রশাসনিক থানাআওতাধীন এলাকাসমূহ
০১কুমিল্লা আদর্শ সদর১৮৮.৩৯কোতোয়ালীসিটি কর্পোরেশন (১টি): কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
ইউনিয়ন (৬টি): কালিরবাজারদুর্গাপুর দক্ষিণদুর্গাপুর উত্তরআমড়াতলীপাঁচথুবী এবং জগন্নাথপুর
০২ব্রাহ্মণপাড়া১২৮.৯০ব্রাহ্মণপাড়াইউনিয়ন (৮টি): মাধবপুরশিদলাইচান্দলাশশীদলদুলালপুরব্রাহ্মণপাড়া সদরসাহেবাবাদ এবং মালাপাড়া
০৩চান্দিনা২০১.৯২চান্দিনাপৌরসভা (১টি): চান্দিনা
ইউনিয়ন (১৩টি): সুহিলপুরবাতাঘাসীমাধাইয়ামহিচাইলকেরণখালবাড়েরাএতবারপুরবরকইটমাইজখারগল্লাইদোল্লাই নবাবপুরবরকরই এবং জোয়াগ
০৪চৌদ্দগ্রাম২৬৮.৪৮চৌদ্দগ্রামপৌরসভা (১টি): চৌদ্দগ্রাম
ইউনিয়ন (১৩টি): কাশিনগরউজিরপুরকালিকাপুরশ্রীপুরশুভপুরঘোলপাশামুন্সিরহাটকনকাপৈতবাতিসাচিওড়াগুণবতীজগন্নাথদীঘি এবং আলকরা
০৫তিতাস১০৬.৩৪তিতাসইউনিয়ন (৯টি): সাতানীজগতপুরবলরামপুরকড়িকান্দিকলাকান্দিভিটিকান্দিনারান্দিয়াজিয়ারকান্দি এবং মজিদপুর
০৬দাউদকান্দি২০৮.৬৬দাউদকান্দিপৌরসভা (১টি): দাউদকান্দি
ইউনিয়ন (১৫টি): দাউদকান্দি উত্তরসুন্দলপুরবারপাড়াগৌরীপুরজিংলাতলীইলিয়টগঞ্জ উত্তরইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণমালিগাঁওমোহাম্মদপুর পশ্চিমমারুকাবিটেশ্বরগোয়ালমারীপদুয়াপাঁচগাছিয়া পশ্চিম এবং দৌলতপুর
০৭দেবিদ্বার২৩৮.৩৬দেবিদ্বারপৌরসভা (১টি): দেবিদ্বার
ইউনিয়ন (১৫টি): বড়শালঘরইউসুফপুররসুলপুরসুবিলফতেহাবাদএলাহাবাদজাফরগঞ্জগুনাইঘর উত্তরগুনাইঘর দক্ষিণরাজামেহারভানীধামতীসুলতানপুরবরকামতা এবং মোহনপুর
০৮নাঙ্গলকোট২৩৬.৪৪নাঙ্গলকোটপৌরসভা (১টি): নাঙ্গলকোট
ইউনিয়ন (১৬টি): বাঙ্গড্ডাপেড়িয়ারায়কোটমৌকরামক্রবপুরআদ্রা দক্ষিণজোড্ডা পশ্চিমঢালুয়াদৌলখাঁড়বক্সগঞ্জসাতবাড়িয়াহেসাখালবটতলীজোড্ডা পূর্বরায়কোট দক্ষিণ এবং আদ্রা উত্তর
০৯বরুড়া২৪১.৬৫বরুড়াপৌরসভা (১টি): বরুড়া
ইউনিয়ন (১৫টি): আগানগরভবানীপুরখোশবাস উত্তরখোশবাস দক্ষিণঝলমচিতড্ডাশাকপুরভাউকসারশিলমুড়ি দক্ষিণশিলমুড়ি উত্তরগালিমপুরআড্ডাআদ্রালক্ষ্মীপুর এবং পয়ালগাছা
১০বুড়িচং১৬৩.৭৬বুড়িচংইউনিয়ন (৯টি): রাজাপুরবাকশীমূলবুড়িচং সদরষোলনলপীরযাত্রাপুরময়নামতিমোকামভারেল্লা এবং ভারেল্লা দক্ষিণ
১১মনোহরগঞ্জ১৬৩.৫৯মনোহরগঞ্জইউনিয়ন (১১টি): বাইশগাঁওসরসপুরহাসনাবাদঝলম উত্তরঝলম দক্ষিণমৈশাতুয়ালক্ষণপুরখিলাউত্তর হাওলানাথেরপেটুয়া এবং বিপুলাসার
১২মুরাদনগর৩৩৯বাঙ্গরাবাজারইউনিয়ন (১০টি): শ্রীকাইলআকুবপুরআন্দিকোটপূর্বধইর পূর্বপূর্বধইর পশ্চিমবাঙ্গরা পূর্ববাঙ্গরা পশ্চিমচাপিতলারামচন্দ্রপুর উত্তর এবং টনকী
মুরাদনগরইউনিয়ন (১২টি): কামাল্লাযাত্রাপুররামচন্দ্রপুর দক্ষিণমুরাদনগর সদরনবীপুর পূর্বনবীপুর পশ্চিমধামঘরজাহাপুরছালিয়াকান্দিদারোরাপাহাড়পুর এবং বাবুটিপাড়া
১৩মেঘনা৯৮.৪৭মেঘনাইউনিয়ন (৮টি): চন্দনপুরচালিভাঙ্গারাধানগরমানিকারচরবড়কান্দাগোবিন্দপুরলুটেরচর এবং ভাওরখোলা
১৪লাকসামলাকসামপৌরসভা (১টি): লাকসাম
ইউনিয়ন (৮টি): বাকইমুদাফফরগঞ্জমুদাফফরগঞ্জ দক্ষিণকান্দিরপাড়গোবিন্দপুরউত্তরদাআজগরা এবং লাকসাম পূর্ব
১৫লালমাইলালমাইইউনিয়ন (৯টি): বাগমারা উত্তরবাগমারা দক্ষিণভুলইন উত্তরভুলইন দক্ষিণপেরুল উত্তরপেরুল দক্ষিণবেলঘর উত্তরবেলঘর দক্ষিণ এবং বাকই উত্তর
১৬সদর দক্ষিণসদর দক্ষিণইউনিয়ন (৬টি): বিজয়পুরচৌয়ারাগলিয়ারাবারপাড়াজোড়কানন পশ্চিম এবং জোড়কানন পূর্ব
১৭হোমনা১৪২.৭৯হোমনাপৌরসভা (১টি): হোমনা
ইউনিয়ন (৯টি): মাথাভাঙ্গাঘাগুটিয়াদুলালপুরচান্দেরচরআছাদপুরনিলখীভাসানিয়াঘারমোড়া এবং জয়পুর

সংসদীয় আসন[সম্পাদনা]

সংসদীয় আসনজাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৬]সংসদ সদস্য[৭][৮][৯][১০][১১]রাজনৈতিক দল
২৪৯ কুমিল্লা-১মেঘনা উপজেলা এবং দাউদকান্দি উপজেলামোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়াবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫০ কুমিল্লা-২তিতাস উপজেলা এবং হোমনা উপজেলাসেলিমা আহমাদবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫১ কুমিল্লা-৩মুরাদনগর উপজেলাইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫২ কুমিল্লা-৪দেবিদ্বার উপজেলারাজী মোহাম্মদ ফখরুলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫৩ কুমিল্লা-৫ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা এবং বুড়িচং উপজেলাএম এ জাহেরস্বতন্ত্র
২৫৪ কুমিল্লা-৬কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলাকুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং কুমিল্লা সেনানিবাসআ ক ম বাহাউদ্দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫৫ কুমিল্লা-৭চান্দিনা উপজেলাপ্রাণ গোপাল দত্তবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫৬ কুমিল্লা-৮বরুড়া উপজেলাআবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫৭ কুমিল্লা-৯লাকসাম উপজেলা এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলাতাজুল ইসলামবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫৮ কুমিল্লা-১০নাঙ্গলকোট উপজেলালালমাই উপজেলা এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাআ হ ম মোস্তফা কামালবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৫৯ কুমিল্লা-১১চৌদ্দগ্রাম উপজেলামুজিবুল হক মুজিববাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

শিক্ষা[সম্পাদনা]

কুমিল্লা জেলার সাক্ষরতার হার ৮২.০২%। এ জেলায় রয়েছে:[১]

  • বিশ্ববিদ্যালয় (সরকারি) - ১টি
  • বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারি) - ৪টি
  • বিশ্ববিদ্যালয় (আর্মি নিয়ন্ত্রিত) - ১টি
  • মেডিকেল কলেজ (সরকারি) - ১টি
  • মেডিকেল কলেজ (বেসরকারি) - ৩টি
  • মেডিকেল কলেজ (আর্মি নিয়ন্ত্রিত) - ১টি
  • কামিল মাদ্রাসা - ১০টি
  • ক্যাডেট কলেজ - ১টি
  • সরকারি পলিটেকনিক - ১টি
  • কলেজ (সরকারি) - ১০টি
  • বাণিজ্যিক কলেজ (সরকারি) - ২টি
  • কলেজ (বেসরকারি) - ৩১টি
  • ফাজিল মাদ্রাসা - ৬৩টি
  • শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ - ১টি
  • পিটিআই - ১টি
  • এইচএসটিটিআই - ১টি
  • মেডিকেল এসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সরকারি) - ১টি
  • মেডিকেল এসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বেসরকারি) - ১টি
  • নার্সিং ইনস্টিটিউট (সরকারি)- ১ টি
  • স্কুল এন্ড কলেজ - ৯০টি
  • আলিম মাদ্রাসা - ৭৫টি
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সরকারি) - ৯টি
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় (অন্যান্য) - ৫৮০টি
  • দাখিল মাদ্রাসা - ২৩৩টি
  • নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৫৫টি
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১৩৩০টি
  • ইবতেদায়ী মাদ্রাসা - ৭১টি
  • পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ( বেসরকারি) - ০৩ টি

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

আকাশপথ

কুমিল্লা বিমানবন্দর কুমিল্লা জেলায় আকাশপথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল। বর্তমানে এটির রাডার ব্যবস্থা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রয়েছে।

সড়কপথ

ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বিভিন্ন এসি/নন-এসি বাস যাতায়াত করে থাকে। দেশের প্রধান জাতীয় সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কুমিল্লা শহরের উপর দিয়ে গেছে। এছাড়া এ জেলার সাথে সংযুক্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ককুমিল্লা-বিবিরবাজার স্থল বন্দর সংযোগ সড়ককুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ সড়কলালমাই-লাকসাম-সোনাইমুড়ি সড়ক উল্লেখযোগ্য।

রেলপথ

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রেলযোগেও কুমিল্লা জেলায় যাতায়াত করা যায়। কুমিল্লা রেলস্টেশন ও লাকসাম রেলস্টেশন এ জেলার প্রধান দুইটি রেলস্টেশন। অন্যান্য রেলস্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন, গুণবতী রেলস্টেশন, হাসানপুর রেলস্টেশন, নাওটি রেলস্টেশন, রাজাপুর রেলস্টেশন, শশীদল রেলস্টেশন, সালদানদী রেলস্টেশন।

এছাড়াও ঢাকা-নোয়াখালী রেল যোগাযোগ এই কুমিল্লা জেলার উপর দিয়েই হয়ে থাকে। এ পথে রেল যোগাযোগের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্টেশন ও রয়েছে সেগুলি হলো সোনাপুর, মাইজদী কোর্ট, চৌমুহনী, সোনাইমুড়ি, বিপুলাসার, নাথেরপেটুয়া, খিলা, লাকসাম জংশন ইত্যাদি।

নদীপথ

কুমিল্লা জেলায় নদীপথেও যোগাযোগ করা যায়। তবে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় নদীপথে শুধুমাত্র আঞ্চলিক যোগাযোগ হয়ে থাকে। এ জেলার একমাত্র নদীবন্দর দাউদকান্দি বাউশিয়া নদীবন্দর এবং এ জেলায় মোট ৩৪টি ফেরীঘাট রয়েছে।[১]

নদ-নদী[সম্পাদনা]

গোমতী নদী, কাপ্তান বাজার, কুমিল্লা।

কুমিল্লা জেলার প্রধান নদ-নদীগুলো হল: মেঘনা নদীগোমতী নদীতিতাস নদীডাকাতিয়া নদীকাঁকড়ি নদীছোট ফেনী নদীআড়চি নদীঘুংঘুর নদী এবং সালদা নদী

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

কুমিল্লা জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। এ অঞ্চলের দারিদ্রতার হার ২০.৬%। এই জেলার অর্থনীতি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে কৃষির মাধ্যমে। এ জেলার প্রায় ১১.৬% মানুষ ব্যবসার সাথে জড়িত। এখানে ২টি শিল্প নগরী রয়েছে। কুমিল্লায় রয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড এর মূল স্থাপনা এবং গ্যাস ফিল্ড।[১২]

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা[সম্পাদনা]

কুমিল্লা জেলায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার জন্য রয়েছে:[১]

  • মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল - ১টি
  • জেনারেল হাসপাতাল - ১টি
  • সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল - ১টি
  • পুলিশ হাসপাতাল - ১টি
  • কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল - ১টি
  • উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র - ২১টি
  • ডায়াবেটিক হাসপাতাল - ২টি
  • চক্ষু হাসপাতাল - ২টি
  • পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র - ১৩টি
  • টিবি ক্লিনিক - ১টি
  • স্কুল হেলথ ক্লিনিক - ১টি
  • উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র - ৪৮টি
  • ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র - ১২৩টি

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

চন্ডী মুড়া
রাজেশপুর ইকো পার্ক
শালবন বৌদ্ধ বিহার

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহ[সম্পাদনা]

  • বিডি ক্লিন-কুমিল্লা [১৩]
  • কেরামত আলী মমতাজ বেগম ফাউন্ডশন, পশ্চিম শিকারপুর,মোকাম,নিমসার,কুমিল্লা।
  • ঢুলিপাড়া ঐক্য পরিষদ, কালীর বাজার, সদর দক্ষিণ,কুমিল্লা।
  • পূর্ব ডেকরা যুব সমাজ কল্যাণ পরিষদ

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ↑ ঝাঁপ দিন:     "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd। ৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯
  2.  "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০
  3. ↑ ঝাঁপ দিন:   "কুমিল্লা জেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০৬
  4.  "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd। ২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯
  5.  "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd। ৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯
  6.  "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd
  7.  "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  8.  "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  9.  "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  10.  "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  11.  "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  12.  "কুমিল্লা জেলা"। comilla.gov.bd। ৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯
  13.  ajker-comilla.com (২০২০-০১-২০)। "চান্দিনায় বিডি ক্লিন-এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন"। Ajker Comilla। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৩[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

0 Comments